জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে বাড়ইল নলপুকুর গ্রাম থেকে কিডনি পাচার চক্রের দুই সদস্যকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন গ্রামবাসী। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বারইল নলপুকুর গ্রাম থেকে দুই কিডনি ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। আটককৃত জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বফলগাড়ী গ্রামের তমেজ আলীর ছেলে দুলু মিয়া (৬৪) ওরফে ডংকার দীর্ঘদিন যাবৎ ক্ষেতলাল উপজেলার তাউসারা গ্রামে বসবাস করে আসছিল। তার সহযোগী গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে আটককৃত নাজমুল (৪৫) ওরফে কেরামত আলী কালাই উপজেলার বফলগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ওই দুইজন আক্কেলপুর ও ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের বারইল গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় বেশ কিছুদিন থেকে ঘোরাফেরা করছিল। তারা গ্রামের সহজ-সরল মানুষদের প্রতিটি কিডনি ৪ লাখ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে কিডনি ক্রয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিডনি চক্রের সদস্য নাজমুল ও দুলু মিয়া বারইল গ্রামের গোলাম মোস্তফা ও রুবেলকে এমন প্রস্তাব দিয়ে বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে থাকে। গোলাম মোস্তফা ও রুবেল ওই গ্রামের ডলার মাস্টারকে বিষয়টি জানান। পরে গ্রামবাসী ওই চক্রের দুই সদস্যকে আটক করে মামুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীমকে জানান। চেয়ারম্যান ঘটনাটি ক্ষেতলাল থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে ১৯৯৯ সালের মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইনে প্রতারণার অপরাধে ক্ষেতলাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ক্ষেতলাল থানার ওসি নিরেন্দ্র নাথ মণ্ডল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।